https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সিলেট জেলা কমিটির উদ্যোগে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতি মুনাফা লাভের কারণে আলু ও পেঁয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন, র্যালি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার ( ২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও র্যালি শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি জামিল চৌধুরী।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সিলেট জেলা কমিটির সম্পাদক পারভেজ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, নাজনীন চৌধুরী, আলী আশরাফ চৌধুরী, ইনামুল করীম চৌধুরী, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, স্বপন কুমার তালুকদার, সুমন কান্তি দাশ, আমিন তাহমিদ, নুরুল হোসেন চৌধুরী, মর্তুজা আলী, অরুণ সরকার, দিপিকা সরকার, নাসরীন আহমদ, সাধারণ আব্দুল মালিক, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, রিয়াজ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষত আলু, পেঁয়াজ এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা। বিপুল পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুদ থাকায় ও আমদানি জটিলতার কারণে এবার আলুর দাম ভোগাচ্ছে ক্রেতাদের। অবশ্য দাম নিয়ন্ত্রণে বা আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক করতে নেই যথাযথ তদারকি। আলুর মতো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পেঁয়াজের দামও। দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকা পেঁয়াজের দাম এখনও চড়া। দীর্ঘদিন থেকে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব ঘটনা বারবার ঘটছে। স্মারকলিপিতে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া স্মারকলিপিতে পল্লী বিদ্যুতের সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটর কমিশন আইন ২০০৩-এর মৌলিক সংস্কার, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বৈষম্যহীন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুতের বাজার বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড, ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের মূল্যহার ভারতের পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রক্ষণশীল আর্থিক ৭.৫০ টাকা মূল্যহারের সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা লক্ষাধিক ক্ষুদ্র নবীন উদ্যোক্তার মাধ্যমে কোটি কোটি ভোক্তার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং ৯ হাজার কোটি ইউনিট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য একটি মধ্যমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, লুণ্ঠনমুক্ত মুনাফাবিহীন সরকারি সেবা খাত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়ন হলে সে-উন্নয়ন বৈষম্যবিহীন সমতাভিত্তিক সমাজ রূপান্তরে সহায়ক হবে এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের মূল্যহার ভারতের পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এজন্য জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২৪ বাস্তবায়ন এবং স্বার্থসংঘাত মুক্ত জ্বালানি সংস্কার করার দাবি জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :