https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
পাকিস্তান ক্রিকেটে অস্থিরতা যেন সহসাই কাটছে না। মাঠের ক্রিকেটে ব্যর্থতা চলছে দলটির। সঙ্গে মাঠের বাইরের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েও আছে সমালোচনা আর বিতর্ক। সেই বিতর্কের নতুন এক সংযোজন বাবর আজমের বাদ পড়া। ঘরে-বাইরে সবশেষ ৬ টেস্টেই হারের পর প্রথম রদবদলের কবলে পড়েছেন তারকা ব্যাটার বাবর আজম। তা নিয়ে আবার ক্ষুব্ধ দেশটিরই আরেক ব্যাটার ফখর জামান।
সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সমালোচনা করেছেন। আবার সেটা নিয়ে নতুন করে অসন্তোষ জন্মেছে বোর্ডের কর্তাদের মাঝে। যে কারণে এই ব্যাটারকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিসিবি ফখরকে এমন পোস্ট দেওয়ায় শোকজ করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। অথচ প্রথম ইনিংসে শান মাসুদের দল ৫৫৬ রান তুলেছিল, এরপরও ইনিংস ব্যবধানে হার ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম। এরপর থেকেই সিরিজজুড়ে ব্যর্থ বাবর আজমের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেল তাকে বাইরে রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের স্কোয়াড সাজায়। যা নিয়ে সতীর্থ ক্রিকেটার ফখর জামান ও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন সমালোচনা করেছেন।
পিসিবি অবশ্য তাদের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার ফখরের সেই টুইট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে ফখর জামান লিখেছেন, বাবর আজমকে বাদ দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত বেশ ভাবনার বিষয়। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিরাট কোহলির গড় অত্যন্ত কম ছিল, যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১ ও ২৬.৫০। সেই সময়ও ভারতীয় বোর্ড কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেটারকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তর্কাতীতভাবে পাকিস্তানের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় সে।’
পরে ফখরের ওই বার্তায় পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, ‘পোস্টটিতে বোর্ড একদমই খুশি নয়। যারা এই বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’ এরপরেই ফখরের নামে দেয়া হয় শোকজ নোটিশ।
এদিকে এই ঘটনার সূত্র ধরে পিসিবির সঙ্গে ফখরের দূরত্ব আরও বাড়তে পারে সামনের দিনগুলোতে। গত মাসেই তিনি পিসিবির এক পরিচালকের বিরুদ্ধে বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভির কাছে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ফখরের অভিযোগ ছিল, বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিতে গড়িমসি করেছেন পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অপারেশনসের পরিচালক উসমান ওয়াহলা।
তবে পিসিবির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং সেই অভিযোগ করার পর ফখর জামানের সঙ্গে বোর্ডের দূরত্বই কেবল বেড়েছে। সামনে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :