https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
সিলেটের সাথে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সাথে অভিজ্ঞতায় প্রাধান্য দিয়ে দল সাজিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবারও থাকছেন সিলেটে। মাশরাফির অধীনে একবার ফাইনাল খেলার কীর্তি রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের।
সর্বশেষ দুই আসরে সিলেটের জার্সিতে দেখা গেছে মাশরাফিকে। সর্বশেষ আসরে যদিও পুরো মৌসুম খেলতে পারেননি ম্যাশ। তবে তার আগের আসরে মাশরাফির নেতৃত্বেই ফাইনালে খেলেছিল আনকোরাদের নিয়ে গড়া সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবার দলে সিলেটের স্থানীয় ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি, বেশিরভাগই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আগের ক্রিকেটারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব এবং জাকির হাসানকে রিটেইন করেছে সিলেট। সেই সাথে সিলেটি জাকের আলী অনিককে সরাসরি চুক্তিতে দলে নিয়েছিল ড্রাফটের আগেই। বিদেশিদের মধ্যে জর্জ মানসে এবং পল স্টার্লিংকেও টেনেছিল সরাসরি চুক্তিতে। ড্রাফট থেকে অভিজ্ঞ এবং সিলেটি ক্রিকেটারদের দিকে ঝুঁকেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত নাম রনি তালুকদার এবারের বিপিএলে খেলবেন সিলেটে। সেই সাথে অভিজ্ঞ পেসার আল-আমিন হোসেন এবং অভিজ্ঞ স্পিনার আরাফাত সানিকে দলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন লম্বা সময় ধরে।
দেশিদের মধ্যে কিছুদিন আগে ডিপিএলে ভালো করে নজর কাড়া রুয়েল মিয়াকেও দলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিদেশিদের মধ্যে আফগানিস্তানের সামিউল্লাহ শেনওয়ারীর সাথে ইংল্যান্ডের রিস টোপলিকে দলে নিয়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের হয়ে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া বিশালদেহী রাহকিম কর্নওয়ালকেও দলে টেনেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দেশিদের মধ্যে বিপিএলে আন্ডাররেটেড ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। তাকে এবার দেখা যাবে সিলেটের জার্সিতে। এছাড়া আরিফুল ইসলামের সাথে নিহাদউজ্জামানকেও দলে টেনেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সিলেটে ওপেনিং স্পট নিয়ে একটা ভালো লড়াই হতে পারে। রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জর্জ মানসি, পল স্টার্লিংয়ের মধ্যে যেকোনো ২ জনকে ওপেনিংয়ে খেলাতে পারে সিলেট। সাথে মিডল অর্ডারে আরিফুল ইসলাম, শেনওয়ারীদের উপর আস্থা রাখতে হবে সিলেটকে।
বোলিং ইউনিটে আছেন একাধিক পরীক্ষিত নাম। মাশরাফির সাথে ইংলিশ রিস টোপলি, দেশি আরাফাত সানি, আল-আমিনরা অভিজ্ঞতায় ভরপুর। তরুণ পেসার রুয়েলের সাথে স্পিনার নিহাদউজ্জামান, নাহিদুলরা ঘূর্ণি জাদু দেখাতেও বেশ পটু।
সিলেটের সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা হতে পারে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং এবং বড় কোনো বিদেশি নাম না থাকা। অন্য বেশিরভাগ দলেই যেখানে অন্তত ২-১ জন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নামকরা তারকা রয়েছেন সেখানে সিলেটে তেমন আহামরি কোনো বিদেশি নেই। এছাড়া মিডল অর্ডারে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করার মতও তেমন কেউ নেই সিলেটের ডেরায়। ফলে বাকি দলগুলো থেকে এই জায়গায় কিছুটা পিছিয়ে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
গত আসরে মাঝপথে সরে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত সিলেটের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। বাকি সময়ে সিলেটের নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এবার মিঠুন নেই। ফলে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকে আরও একবার দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সহ-অধিনায়ক হিসেবে জাকির, স্টার্লিংদের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
একনজরে সিলেট স্ট্রাইকার্স স্কোয়াড: তানজিম হাসান সাকিব, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, জর্জ মানসি, পল স্টার্লিং, রনি তালুকদার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল-আমিন হোসেন, আরাফাত সানি, রাহকিম কর্নওয়াল, সামিউল্লাহ শেনওয়ারী, রিস টোপলি, রুয়েল মিয়া, আরিফুল হক, নিহাদউজ্জামান, নাহিদুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :