https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
শিখাবিডি ডেস্ক :: সিলেটে এক স্কুল ছাত্রের খৎনা করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পুরুষ লিঙ্গে গুরুতর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ আগস্ট শনিবার দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টের লিটন মেডিকেল হল এন্ড ডেন্টাল কেয়ারে।
অভিযোগকারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ড গোটাটিকর ষাটঘরের বাসিন্দা মোঃ সুজন আহমদ জানান, লিটন মেডিকেল হল এন্ড ডেন্টাল কেয়ারে ডাঃ মোঃ মুহিবুর রহমান (মুহিত) এর কাছে তার ছেলে গোটাটিকর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র মোঃ আলিফ আহমদ (১৯)কে খৎনা দেওয়ার জন্য ৭ হাজার টাকায় ধার্য করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর ডাক্তার মুহিত আলিফের খৎনার কাজ সম্পন্ন করে বেন্ডেজ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। বাড়িতে যাওয়ার ৪ দিন পর আলিফ আহমদের পুরুষ লিঙ্গে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হয়েছে, এমনকি যন্ত্রণার জন্য রাতে ঘুমাতে পরছেনা। একদিন দিনের বেলা ছেলে ঘুমে থাকার কারনে তার মা দেখতে পান ছেলের বেন্ডেজ খুলে গেছে, সেটি ঠিক করতে গিয়ে দেখেন ছেলের পুরুষ লিঙ্গের গুড়িতে অর্ধেক কাটা ও গুরুত্বর জখম হয়ে গেছে। তিনি চমকে যান। মুসলমানি (খৎনা) দিলে পুরুষ লিঙ্গের আগা কাঠা হয়, কখনো গুড়িতে কাটা হয় এমনটা দেখেননি। বিষয়টি তিনি স্বামীকে জানান।
সুজন আহমদ ছেলের গুরুতর বিষয়টি ডাক্তার মুহিতকে জানালে তিনি প্রথম দিনের প্রেসক্রিপশন রেখে নতুন একটি প্রেসক্রিপশনে ঔধবপত্র দেন। একপর্যায়ে আলিফের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার অভিজ্ঞ সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, খৎনা দেওয়ার নামে ছেলেটির গোপনাঙ্গ মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আলিফের পিতা সুজন আহমদ জানান। তিনি বলেন, ডাঃ মুহিত ৭ হাজার টাকা নিয়েছেন আমার ছেলের খৎনা দেওয়ার ২/৩ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে বলে, কিন্তু ভালো না হয়ে ছেলের এত বড় ক্ষতি করেছেন ডাঃ। তিনি আরো বলেন, ডাঃ মুহিত প্রচারণা করেন ইউটিউবের মাধ্যমে কসমেটিক সার্জারি নামে একটি ডিভাইজ তৈরি করে খৎনা দেন তিনি। এতে রোগীরা সহজে সুস্থ হয়ে যান। তার এমন প্রতারণার শিকার হয়ে আর করো ছেলের যেন এমন ক্ষতি না হয়। মোঃ সুজন আহমদ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ডাঃ মুহিত ভূয়া, প্রকৃত ডাঃ হলে আমার আলিফ এর ভবিষ্যত নষ্ট হত না।
তিনি লিটন মেডিকেল হল এন্ড ডেন্টাল কেয়ারে ডাঃ মোঃ মুহিবুর রহমান (মুহিত) এর শাস্তির দাবি জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
আলাপকালে ডা. মুহিবুর রহমান মুহিত জানান, আমি সঠিকভাবেই আলিফ আহমদের খৎনা করেছি। কিন্তু কিভাবে সমস্যার সৃষ্টি হলো আমার বোধগম্য নয়। এরপরও এই ছেলের সুস্থ্যতার ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করবো আমি। আমি তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
আপনার মতামত লিখুন :