https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
জাবেদ এমরান :: আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সিলেট জেলা পুলিশের আয়োজনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নগরীর রিকাবীবাজারস্থ সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্স হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হয। সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট মহানগর ও জেলায় ৫৯৩টি মণ্ডপে এবার পূজা আয়োজন করা হবে। তার মধ্যে মহানগরে ১৫৩টি ও জেলায় ৪৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সিলেট জেলার মধ্যে সর্বাধিক প্রতিমা বিসর্জন হয় সিলেট নগরীর চাঁদনী ঘাটের সুরমা নদীতে ও জকিগঞ্জের কাস্টম ঘাটের কুশিয়ারা নদীতে। পূজা উপলক্ষে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক সংস্কার, সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং প্রতিমা বিসর্জন এলাকা ও প্রতিটা পূজামণ্ডপসহ পূজারী চলাচল স্থান সমূহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি কঠোর নজর রাখার আহবান করা হয়।
সভায় পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে উপস্থিত সদস্যরা সমন্বয় করে হিন্দু-মুসলিমরা মিলেমিশে সম্প্রতির বন্ধন বজায় রেখে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জুম্মার দিনে মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে মুসলমানদের সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়। তবে হিন্দু-মুসলিম ধর্মে নিষিদ্ধ আতশবাজি বা পটকা ব্যবহারে সবাইকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আগামী ০৯ অক্টোবর (বুধবার) মহাষষ্ঠীর তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। মহাসপ্তমী ১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার), মহাষ্টমী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার), মহানবমী ১২ অক্টোবর (শনিবার) ও ১৩ অক্টোবর (রোববার) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের এই বড় ধর্মীয় উৎসব।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে যার জায়গা থেকে কাজ করলে স্বাচ্ছন্দ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারবে। তিনি সভায় আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সবার সহযোগিতায় সফলভাবে পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সিলেট বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, সিলেট জেলা ও মহানগর ইমাম সমিতির নেতৃত্ব, সিলেট মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের পাশাপাশি সিভিল সার্জন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, বিজিবি, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও পিডিবির প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :