https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
রান্না করে ফেলে দেওয়া চা-পাতা থেকে সার তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে “নৈবেদ্য” নামের একটি দল। টেক টি ফার্টিলাইজার নিয়ে একটি প্রজেক্টে কাজ করে ইমাজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিলেটের সামিয়া রহমানের “নৈবেদ্য” নামের এ দলটি।
টিম নৈবেদ্য ইউনিসেফের অর্থায়নে প্রজেক্টটি বর্তমানে কাজ করছে সিলেটের উপশহর এলাকা থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে বিভিন্ন নার্সারিতে তারা তাদের সার সরবরাহ করছে।
সিলেট মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট বিভাগীয় কার্যালয়ে এটির গবেষণা চলছে। সকল ধরনের উদ্যানের গাছে এই সার দেয়া অত্যন্ত ভালো এবং তা সুলভ মূল্যে ব্যবহারযোগ্য হবে জানায় “নৈবেদ্য” দলের টিম লিডার সামিয়া রহমান।
তাদের পরিকল্পনা চা বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা যা আমাদের দেশে এখনও অপ্রিয়। তারা বর্তমানে সিলেটের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করছেন। ভবিষ্যতে তারা সারা বাংলাদেশে কাজ করবে। তাদের লক্ষ্য হল এই সারটি খুব নূন্যতম হারে সরবরাহ করা কারণ সংমিশ্রিত সার জনগণের জন্য ব্যবহার করা খুব ব্যয়বহুল। “নৈবেদ্য” দলের টিম লিডার সামিয়া রহমান আর্মি ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্রী।
ইমেজেন ভেঞ্চারস ইয়ুথ চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন “নৈবেদ্য” দলের টিম লিডার সামিয়া রহমান বলেন, “আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানকার উদ্ভাবন সচরাচর সবার চোখে পড়ে না। আমাদের অনেকেই নিজেদের কমিউনিটিকে এমন একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরার সুযোগ পান না। এই প্রতিযোগিতার অংশ হতে পারাটা আমার জন্য জীবন বদলে দেওয়ার মতো একটি অভিজ্ঞতা। এখন আমি আমার ভাবনাগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।”
আপনার মতামত লিখুন :