https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
বাংলাদেশের আধ্যাত্বিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী পূণ্যভুমি সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পুনঃস্থাপন ও প্রতিষ্ঠাসহ ৩০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি সিলেট সফররত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে তুলে দেন সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম নেতৃবৃন্দ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ২টায় এ স্মারকলিপি তুলে দেন ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট। এসময় প্রধান বিচারপতি স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং পর্যায়ক্রমে স্মারকলিপিতে উল্লিখিত বিষয়গুলো সমাধনের আশ্বাস দেন।
এসময় সিলেটের সাবেক পিপি ও সিলেট বিভাগ হাই বেঞ্চ বাস্তবায়ন কমিটির সহ সভাপতি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, গণদাবি ফোরাম সিলেট মহানগর সভাপতি শামীম হাসান চৌধুরী এডভোকেট, ফোরামের উপদেষ্টা মুফতি আব্দুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট, সিনিয়র আইনজীবী সিরাজ উদ্দিন খান, বিশ্বজিৎ ঘোষ এডভোকেট, মহানন্দ পাল এডভোকেট, শরীফুল হুদা চৌধুরী এডভোকেট, রাশেদুজ্জামান এডভোকেট সহ বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩০ দফা স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৪৭ সালে ঐতিহাসিক রেফারেন্ডামের সময় তৎকালীন সরকার ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ বর্তমান সিলেট বিভাগকে প্রদেশের মর্যাদা দিয়ে সকল প্রশাসনিক অফিস ও দপ্তরের ন্যায় সিলেটের বিচার প্রার্থী জনগনের সুবিধার্থে সিলেটে পূর্ণাঙ্গ হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন ও প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রদান করিলেও আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ স্থাপন। ২. সিলেট জেলা জজ আদালতে আরও একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন। ৩. সিলেট মহানগরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা। ৪. সিলেটে বিভাগীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল, ড্রাগ কোর্ট, খাদ্য আদালত ও নৌ আদালত স্থাপন। ৫. সিলেটের বিচার আদালতগুলোর স্থায়ী ভবন নির্মাণ ও আধুনিক সুবিধা বৃদ্ধি। ৬. ভূমি রেকর্ড সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতা প্রদান। ৭. ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাণিজ্যিক আদালত স্থাপন। ৮. কোম্পানি বিরোধ নিষ্পত্তিতে কোম্পানি আদালত স্থাপন। ৯. সিলেট বিভাগে শূন্য পদে বিচারক নিয়োগ। ১০. সিলেটের বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবন নির্মাণ। ১১. নথি সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুততর করা। ১২. কার্টিজ পেপারের পরিবর্তে বিকল্প কাগজ ব্যবহারের ব্যবস্থা। ১৩. পর্যাপ্ত স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কাগজ সরবরাহ নিশ্চিত। ১৪. ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ কমাতে সঠিক মালিকানা ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ১৫. ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি। ১৬. তদন্তকালে দুই পক্ষের বক্তব্য ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা। ১৭. দেওয়ানি মামলার নিষ্পত্তি দ্রুততর করতে ক্ষমতা বৃদ্ধি। ১৮. দেওয়ানি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া লিখিত আকারে নিশ্চিত করা। ১৯. আবেদনপত্রে হলফনামার পরিবর্তে ঘোষণার মাধ্যমে দাখিলের ব্যবস্থা। ২০. আদালত প্রাঙ্গণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২১. ফ্রি ওয়াই-ফাই ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত। ২২. বহুতল ভবনে আধুনিক লিফট সার্ভিস চালু রাখা। ২৩. বিদ্যুৎ বিঘ্ন হলে জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২৪. ভূমি রেকর্ড ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে তদারকি বৃদ্ধি। ২৫. সুপ্রিম কোর্টে বাংলা ভাষায় মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা। ২৬. লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাক্ট আধুনিকায়ন। ২৭. বিশেষ প্রশিক্ষিত জুডিশিয়াল পুলিশ গঠন। ২৮. আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী স্থানীয়ভাবে নিয়োগ। ২৯. স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ। ৩০. আদালত প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত। বিজ্ঞপ্তি
আপনার মতামত লিখুন :