https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
শিখাবিডি ডেস্ক :: দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক ছাড়াই কেবল প্রভাষক পর্যায়ের শিক্ষক দিয়েই পাঠদান চলছে দেশের সর্বপ্রথম ইউনানী আয়ুর্বেদিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রোগীদের ন্যাচারাল (প্রাকৃতিক উপাদান) পদ্ধতির চিকিৎসা সেবা দিতে ১৯৪৫ সালে সিলেটে ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর ৭৫ বছর পার হলেও শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়নি। কলেজে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের কোন পদ নেই। শুধুমাত্র প্রভাষক দিয়েই শিক্ষার্থীদের পাঠাদান দেয়া হচ্ছে। এখানকার শিক্ষকদের জন্য টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও প্রমোশন না থাকায় বেতন-ভাতা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সংশ্লিটরা জানিয়েছেন, কলেজের অনেক শিক্ষকের সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক এমনকি অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে। এরপরও শিক্ষকরা পদ ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। মূলত প্রতিষ্ঠানটির কিছু শিক্ষকের ব্যক্তি স্বার্থ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এমবিবিএস চিকিৎসকদের প্রাধান্য ও বৈষম্যের কারণেই অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) সেক্টরের উন্নতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ধরনের জটিলতার ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি সিন্ডিকেট কম যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও নানা উপায়ে অল্টার্নেটিভ মেডিসিন সেক্টরের বড় চেয়ার দখল করে আছে। আর এসব জটিলতার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, সিলেট ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমানে একাডেমিক পাঠদান চলছে মাত্র একজন প্রভাষকের মাধ্যমে। সংশ্লিটরা বলছেন, যদি কলেজের শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো যেত, ইউনানী চিকিৎসকদের নামের পূর্বে ডা. ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়, পাশাপাশি অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিন পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হলে ইউনানী ও আয়ূর্বেদিক বিষয়ে পড়াশুনা শেষে অনেকে চিকিৎসক বা শিক্ষক হতে পারতো।
সিলেট ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইউনানী মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. মোহাম্মদ জাফর হোসেন বলেন, এখানে জরুরী বিভাগ, ঔষধ প্রডাকশন ইউনিট ও রোগ নির্ণয় শাখা থাকলেও জনবলের অভাবে সেটি চলছে না। কলেজের অন্য একজন প্রভাষক বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এখানে অনারারী চাকুরী করলেও চাকুরী স্থায়ী হয়নি। কলেজটিতে শুধুমাত্র একজন প্রিন্সিপাল, অলটার্নেটিভ মেডিকেল কেয়ার প্রকল্পের ৩ জন প্রভাষক থাকলেও প্রভাষকদের কোন বেতন নেই গত জুন মাস থেকেকলেজটির সাবেক মেডিকেল কেয়ার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক অল্টারনেটিভ মেডিসিন বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. মো. রাশেদুজ্জামান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যাপক পদ মর্যাদার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলাপ হয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী সময় স্বাপেক্ষে সিলেকশনগ্রেড ও টাইমস্কেল নির্ধারণ করা হবে। ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা নিজেদের মধ্যে থেকে প্রিন্সিপাল বা পরিচালক হতে চান, এ বিষয়ে আমারাও একমত।
আপনার মতামত লিখুন :