প্রতিটি কাজের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে ইসলামের রীতি-নীতি। ইসলামি পদ্ধতি অনুযায়ী যে কাজ করা হবে তা সবই ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। খাওয়া ও পান করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে থাকি। এই পানি পানে কিছু ইসলামি নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছে করলে- তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? (সুরা ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ৬৮-৭০)।
যেসব পদ্ধতিতে পানি পান করা সুন্নত:
১. শুরুতে (বিসমিল্লাহ) পড়া এবং শেষে (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২/১০)
২. ডান হাতে পান করা। কেননা, শয়তান বাম হাত দিয়ে পান করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭২)
৩. বসে পান করা, দাঁড়িয়ে পান করা নিষেধ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৩)
৪. তিন নিঃশ্বাসে পান করা, নিঃশ্বাস ফেলার সময় গ্লাস থেকে মুখ আলাদা করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৪)
৫. গ্লাসের ভাঙা অংশের দিক দিয়ে পান না করা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২/১৬৭)
৬. জগ ইত্যাদি বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কেননা এতে বেশি পানি চলে আসার বা সাপ-বিচ্ছু থাকার আশঙ্কা থাকে। (বুখারি, হাদিস : ২/৮৪১; মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৩)
৭. পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে প্রথমে ডান পাশের জনকে দেওয়া। সেও তার ডান পাশের জনকে দেবে, এভাবেই চলবে। পানীয়ের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। (বুখারি, হাদিস : ২/৮৪০; মুসলিম, হাদিস : ২/১৭৪)
৮. অজু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেওয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ হয়। (বুখারি, হাদিস : ৫৬১৬)
আপনার মতামত লিখুন :