https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
অনেক দিন ধরেই সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টাও করেছে সন্ত্রাসী দলটি। বলিউডের ভাইজানের ক্ষতি করতে না পেরে গত ১২ অক্টোবর ভারতের সাবেক কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা। কারণ বাবা সিদ্দিকি ছিলেন সালমানের শ্রদ্ধাভাজন। তার মৃত্যুর পর আবারও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সালমান খান।
সালমান ছাড়াও তার কাছের মানুষদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেও রয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। জানা গেছে, বাবা সিদ্দিকি সালমানের ঘনিষ্ঠ বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরে সালমানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজস্থানে বিষ্ণোই সম্প্রদায় ভক্তি করে ১৯৯৮ সালে এ রকম দুটি কৃষ্ণ হরিণ মেরেছিলেন সালমান। ওই ঘটনার পর থেকে বার বার সালমানকে ভয় দেখিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, দুটি হরিণ মেরে কেন ক্ষমা চাননি সালমান। কিছুদিন আগে সালমানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও করেছিল তারা।
এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স বলেছিলেন, ‘বলিউড তারকা সালমান খানকে হত্যা করাই আমার লক্ষ্য। এছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের বড় কোনো উদ্দেশ্য নেই।’ সালমান কি তাদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন না? পাবেন। তবে এ জন্য কঠিন এক শর্ত বেঁধে দিয়েছেন গ্যাং প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই। একটি কাজ করলে সালমানকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কী সেটি?
ওই সাক্ষাৎকারে লরেন্সের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কী করলে সালমানকে তারা ক্ষমা করবেন? জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের বিষ্ণোইদের একটি মন্দির আছে। ওই মন্দিরের নাম মুক্তিধাম মুকাম বিষ্ণোই মন্দির। ওই মন্দিরে গিয়ে সালমান যদি ক্ষমা চান এবং বলেন, যা করেছেন, তা ভুল করে করেছেন। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এক কথায়, সালমনাকে মুকাম মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।’
লরেন্সকে আবারও প্রশ্ন করা, সালমান যদি অনলাইনে ক্ষমা চান, তাহলে কি তা গ্রহণ করা হবে? কালবিলম্ব না করে তিনি বলেন, শারীরিকভাবে মন্দিরে উপস্থিত হতে হবে। মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইলে তবেই তারা সন্তুষ্ট হবেন।’ এদিকে ভারতের সাবেক বিজেপি নেতা হরনাথ সিং যাদবও মনে করেন, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে সালমানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বিষ্ণু-পূজারি বিষ্ণোই সম্প্রদায় কয়েকশ বছর ধরে কিছু রীতি মেনে চলে। সে রীতির মূলনীতি প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ ও প্রাণী রক্ষা। বিশেষ করে ওই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র মনে করে ভক্তি করে। প্রাচীন হিন্দু পুরানে এই কৃষ্ণ হরিণের ব্যাপারে বলা হয়েছে, এরা ভগবান কৃষ্ণের রথ টানতো।
আপনার মতামত লিখুন :