https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html

জগন্নাথপুরের কেশবপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ


Shikha BD প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ১:৫০ অপরাহ্ন /
জগন্নাথপুরের কেশবপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ২৩৯ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দেয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ২০ বছর ধরে কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোশারফ হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকায় এবং স্থানীয় এলাকায় তার শশুরবাড়ি হওয়াতে সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুুল দেখিয়ে তিনি তার ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করার কথা বলে প্রবাসিদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হলেও ওই সময় শিক্ষক জানান, তিনি স্বেচ্ছায় বিদ্যালয় থেকে অন্যস্থ বদলি হয়ে চলে যাবেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি তাঁর খোলস বদলে আলোচিত ডিবি হারুন ( ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের) তাদের এলাকার বড় ভাই পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদীদের ভয় ভীতি দেখান। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষক মোশারফ হোসেন বিদ্যালয় অনুপস্থিত থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্পীদের নিয়ে গান বাজনায় ব্যস্ত থাকেন। এতে বিদ্যালয়ের চরমভাবে পাঠদান ব্যাহত হয়।

সম্প্রতি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষ্যে অন্য ধর্মের এক নারী শিক্ষিকাকে পাশে বসিয়ে দোয়া পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনতাবস্থায় এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানানো হয় অভিযোগপত্রে।

স্থানীয় কাউন্সিলর আলাল হোসেনসহ লিটন মিয়া, তৈয়ব আলী, কামরুল হাসান তেরাই ও সিজিল মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম দুর্নীত ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। তিনি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি খেয়াল না রেখে বিদ্যালয়ের বাহিরে বেশি থাকেন। স্কুলে পড়াশুনা না হওয়ায় বাচ্চারা অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্কীকার করেছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো।