ডেস্ক :: বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তোপের মুখে হাইস্কুল প্রধান, পদত্যাগের দাবী। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ আহমদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর উপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
গত দুই তিন দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই শিক্ষকের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে নানা অভিযোগ তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিগত সরকারের দোসর এই শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনেকটা দলতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। সরকার দলীয় স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে ওঠাবসা করতেন। যে কারণে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমানের সাথে ছিল তার বেশ সখ্যতা। সম্প্রতি এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ দুদক দফতরে যায়। শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমানের সাথে আঁতাত করে প্রধান শিক্ষক খালেদ আহমদ এলাকার বিরুদ্ধে গিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে নিজের অবস্থান পোক্ত করে রেখেছিলেন।
এমনকি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বেতন, উন্নয়ন ফি, রেজিষ্ট্রেশন ফি আদায় করতেন। অনেক অভিভাবক দারিদ্র্যতা উল্লেখ করে বেতন মওকুফের সহায়তা চাইলে মুখের ভাষায়, অমানবিক আচরণে তাদেরকে বিভিন্নভাবে অপমানিত করার অভিযোগ করেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সাবেক অভিভাবক সদস্য, তিনি তাঁর নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন- ‘আমি ম্যানেজিং কমিটিতে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয় ফান্ড একবার অডিট করেছিলাম। হিসাবে অমিল পাওয়ায় ভাউচারে সই করিনি। আমার ছোট মেয়ে আগের দিন ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়। পরের দিন এসেম্বলিতে সকল বাচ্চাদের সামনে আমার মেয়েকে অপদস্ত করেন এই প্রধান শিক্ষক। এমনকি স্কুল থেকে বহিষ্কারেরও হুমকি দেন। এ নিয়ে কমিটিতে তুমুল আলোচনা হলে সভাপতি আশ্বস্থ করে বলেন প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চাইবেন যা আজ পর্যন্ত করেননি।’
রাসেল আহমদ নামের এক ব্যাক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্কুলে সরকারি রিপিয়ারিংয়ের কাজ আসছিল। সেখানে কাজটি ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে কন্ট্রাক্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু উনি অফিসসহ ৩টি শ্রেণী কক্ষের কাজ করিয়ে বাকি টাকা উঠিয়ে নেন।’
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক খালেদ আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো দলীয় মতাদর্শের এসব কথাবার্তা শিক্ষার্থীদের বলিনি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়। পেশাগত প্রয়োজনে আমাকে শত্রু মনে করা কারো সমীচীন নয়।’
আপনার মতামত লিখুন :