https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, লোকমান খান শেরওয়ানী ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন কর্মী। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সাংবাদিক। তার নামে সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রবর্তন করে চট্টগ্রাম একাডেমি প্রশংসা কুড়িয়েছে।
একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে ও কবি সাহিত্যিক রাশেদ রউফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বে সর্বপ্রথম স্মার্ট শিক্ষার প্রবক্তা, আধুনিক ইই–লার্নিং বিশেষজ্ঞ, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, লেখক, সুবক্তা, পরামর্শক ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. বদরুল হুদা খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরওয়ানীর পুত্র কামরুল হুদা খান। বক্তব্য রাখেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. আনোয়ারা আলম ও নেছার আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন একাডেমির পরিচালক রেজাউল করিম স্বপন, প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, কবি–গীতিকার জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন প্রফেসর রীতা দত্ত, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, প্রাবন্ধিক এস এম আবদুল আজিজ, কবি সুলতানা নুর জাহান রোজী, এস এম মোখলেসুর রহমান, কবি শরনংকর বড়ুয়া, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, গল্পকার ফারজানা রহমান শিমু, অধ্যাপক শামীমা নার্গিস, সমাজব্রতী মির মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
এ বছর প্রিন্ট মিডিয়ায় সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পান দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর। সভাপতি ও প্রধান অতিথি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক হাসান আকবরের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ই–লার্নিং বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল হুদা খান বলেন, লোকমান খান শেরওয়ানীর নামে এই পুরস্কারের মাধ্যমে প্রতিভাসম্পন্ন সাংবাদিককে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। হাসান আকবর আগামীতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কোনো বই প্রকাশ করলে তাকে বিশ্বব্যাপী প্রকাশ ও বিপণনের ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বদরুল হুদা খান বলেন, মোমিন রোড–জামালখান এলাকা সাহিত্য–সংস্কৃতির চর্চার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম একাডেমিকে সেই চর্চার মূল মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে সংশ্লিষ্টরা।
সাংবাদিক হাসান আকবর তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি আজাদীর হাসান আকবর হিসেবে পরিচিত হয়েছি। সাংবাদিকতায় এতটুকু পাওয়ার পেছনে আমি আজাদীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি তাঁর জীবনে এই অর্জনে পিতা-মাতা ও স্ত্রীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আপনার মতামত লিখুন :