বিশ্বনাথের বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার


Shikha BD প্রকাশের সময় : জুন ১, ২০২৪, ২:০১ অপরাহ্ন /
বিশ্বনাথের বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার

গেল কয়েক দিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার করাল গ্রাস চলছে। আকস্মিক বন্যায় কয়েক লক্ষ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। গেল দু’দিন ধরে ঝড় বৃষ্টি কম হওয়ায় অনেক এলাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু নতুন করে প্রতিদিন নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় বানের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে। ঘর বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র ও ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হয়ে মানুষ জীবন যাপন করছে।

এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সুরমা নদীর পানি। সুরমা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। সুরমা নদী বেষ্টিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর সীমান্তের বেশ কিছু নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রাম স্বাভাবিক বন্যার কবলে পড়েছে।

শনিবার ১লা জুন দুপুরে উপজেলার ১ নং লামাকাজি ইউনিয়ন ও ২ নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আগাম বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার ও অন্যান্যা প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ লামাকাজি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী মাহতাবপুর, পরগণা বাজার এলাকা ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বাওনপুর সহ বিভিন্ন স্হানে সরেজমিনে ঘুরে দেখেন পরিস্থিতি। বন্যা পূর্বাভাস, জনসচেতনতা ও সতর্কতা মূলক পর্যবেক্ষণে তিনি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন।

এসময় শাহিনা আক্তার জানান, গেল ২০২২ সালের বন্যায় বিশ্বনাথ বাসী যে ক্ষতি ও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন এবার সেরকম কিছু হবে না। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলিয়ে সর্বমোট ৫৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখার সিদ্ধান্তঃ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ২টি করে নৌকা প্রস্তুত আছে। এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মোবাইল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। খাদ্য, চিকিৎসা পত্র ও উদ্ধার কাজের সরঞ্জামাদীর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। স্বাভাবিক আক্রান্ত এলাকায় আগামীকাল থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে।

নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার এসময় আরো বলেন; পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বিশ্বনাথের অন্যান্য এলাকা পুরোপুরি বন্যা কবলিত না ও হতে পারে। উপজেলার জনগণকে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দেন এবং পরিস্থিতি ধৈর্য্যের সাথে মোকাবেলা করার আহবান জানান।

এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, ১ নং লামাকাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।