যারা দলীয় পদ ব্যবহার করে নৌকার বিরোধীতা করে তাদের প্রতি সতর্ক থাকবেন। এরা দেশ ও জনগণের শত্রু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তারা বেইমানী করেন। দলের সাথে তারা বেইমানী করেন। তাই মুক্তিযুদ্বের অপশক্তি যাতে নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনাদের উপর।
রবিবার বিকেলে সাচনা বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল রায়ের সভাপতিত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কলমদর ও কাশেম আল আজাদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।
আপনারা জানেন, ইকবাল আল আজাদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বাবাকে আপনারা দীর্ঘ ৩০ বছর ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে তাঁর ছেলে ইকবাল আল আজাদকেও আপনারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই করোনা মহামারী ও বন্যা হওয়ার কারণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হয়। এটা শুধু আমাদের বাংলাদেশেই নয় পুরো পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে থুবড়ে পড়ে। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, এবার আপনারা তাকে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচিত করলে, সে আপনাদের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেল আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শুভ বণিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল হাছান শাহীন, সদস্য শাহীন রেজা, সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ, আজহারুল ইসলাম আফজল, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শুয়েব আহমদ, সহ সভাপতি ঝন্টু তালুকদার, বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার, জামালগঞ্জ উত্তরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো রজব আলী, জামালগঞ্জ সদর ইউপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহানা আল আজাদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. জালাল মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শ্রীকান্ত তালুকদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্র তালুকদার।
আপনার মতামত লিখুন :