https://shikhabd.com/google0928d57da4654288.html
চোটের কারণে আগের ম্যাচে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে নামতে পারেননি লিওনেল মেসি। তার অনুপস্থিতিতে ফ্লোরিডার ক্লাবটি জয়বঞ্চিত থাকায় একটি সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করেছিল এমন– ‘নো মেসি, নো পার্টি।’ শঙ্কা ছাপিয়ে মেসি ফিরতেই ফের মায়ামির পার্টি শুরু হয়ে গেছে। যদিও ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে (রোববার) সকালে কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছে মায়ামি।
মায়ামির চেজ স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত হওয়ায় ম্যাচটি শুরু হয়েছিল দেরিতে। এরপর মাঝপথেও হানা দেয় বৃষ্টি। এর মাঝে কিছুটা খেই হারালেও, ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল স্বাগতিক গোলাপি জার্সিধারীদের। তবুও ম্যাচটা হয়তো গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল। পরবর্তীতে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে চমক দেখান লিওনার্দো কাম্পানা। তার একমাত্র গোলেই ১–০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মেসিবাহিনী মাঠ ছাড়ে।
প্রথমার্ধে দাপুটে খেলেও, গোলের দেখা না পাওয়ায় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যান জেরার্দো টাটা মার্টিনো। বিশেষ করে মুষলধারে বৃষ্টি চলাকালে লুইস সুয়াজের ফাউলের শিকার হলে ফ্রি–কিক পায় মায়ামি, তাতে গোল পাননি মেসি। তার শট প্রতিপক্ষের মানবপ্রাচীরে বাধা পেয়ে ব্যর্থ হয়ে যায়। এর আগে মেসি–সুয়ারেজদের পাসিং ফুটবলের বিপরীতে ডিসি ইউনাইটেড চেষ্টা করে প্রতি–আক্রমণনির্ভর ফুটবল খেলে সুযোগ তৈরির। কিন্তু উভয় পক্ষই প্রথমার্ধে ডেডলক ভাঙতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বিরতির আগে শেষদিকে মায়ামির বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি ও আলেক্সান্ডার বোনো ওয়ান-অন-ওয়ানে সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের বাধায়।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে সফরকারীরা মায়ামির দাপট কমাতে শুরু করে। তবুও ধীরে ধীরে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মেসিরা। ৭০ মিনিটে এই আর্জেন্টাই মহাতারকার দূরপাল্লার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। নিশ্চিত ড্র মাথায় নিয়েই ম্যাচের শেষদিকে ডিসি ইউনাইটেড রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। মায়ামি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে আক্রমণে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় যোগ করা সময়ে মেসিরা পেয়ে যান জয়সূচক গোলটি।
সার্জিও বুসকেটস প্রায় মাঝমাঠ থেকে দারুণভাবে বাড়ানো বল পেয়ে যান কাম্পানা। ইকুয়েডরের এই ফরোয়ার্ড প্রথমে বলটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন। তাতেই নিশ্চিত পয়েন্ট খোয়াতে যাওয়া মায়ামি পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এই জয়ে তারা ১৫ ম্যাচ শেষে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষেই থাকল। ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ৪ ড্র ও ২ হারে মায়ামির পয়েন্ট এখন ৩১।
আপনার মতামত লিখুন :